সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দান


অনুচ্ছেদ ১০ টি
হাদিসে এসেছে, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা।” কিন্তু মুসলিম অন্তর দ্বারা খারাপ কাজ কিভাবে পরিবর্তন করবে?হাত দ্বারা মন্দকাজে বাধা বা তার পরিবর্তন কিভাবে হবে?বহু মানুষ আছে, যারা চোখের সামনে খারাপ কাজ হতে দেখেও বাধা দেয় না। পরন্ত যারা সে কাজ করে, তাদের সাথে ভাল সম্পর্কও রাখে, উঠা বসা করে, সহবস্থান করে। মন চটে যাওয়ার ভয়ে তাদের কাজে কোন প্রকার আপত্তি জানায় না। জানি না, তাদের মনে ঘৃণা আছে কি না। আর ঘৃণা থাকলেও কি কোন কাজে দেবে? এর শ্রেণীর লোকেদের ব্যাপারে শরিয়তের বিধান কি?রোজাদার ব্যক্তি ভুল করে পানাহার করলে আল্লাহই তাকে খাওয়ান এবং তাঁর রোজাও শুদ্ধ। কিন্তু যে ব্যক্তি তাকে পানাহার করতে দেখবে, সে কি তাকে রোজার কথা স্মরণ করিয়ে পানাহারে বাধা দেবে? নাকি আল্লাহ খাওয়াচ্ছেন বলে তাকে খাওয়ার সুযোগ দেবে?বড়দেরকে গীবত ইত্যাদি আপত্তিকর কর্মে লিপ্ত দেখে বাধা দিলে তাঁরা রেগে ওঠেন। বিশেষ করে পিতামাতা হলে তাঁদের রাগ কি আমার জন্য ক্ষতিকর হবে?আমি একজন ধার্মিক মহিলা। আমার বাড়ি বা প্রতিবেশীতে যে সকল আপত্তিকর কর্ম ঘটে, তাতে বাধা দিলে লোকে আমাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করে। গান বাজনা শুনতে, গীবত চর্চা করতে নিষেধ করলে আমাকে অনেকে ‘সেকেলে’ মেয়ে বলে। এ ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?আমি যে কাজ নিজে করতে পরি না, তা অপরকে করতে কি আদেশ করতে পারি? যে কাজ নিজে বর্জন করতে পারি না, তা অপরকে বর্জন করতে আদেশ করতে কি পারি?“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা ।” অন্তর দ্বারা আপত্তি ও পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?হাত দ্বারা আপত্তি করার অধিকার ও কর্তব্য কার আছে?কোন আপত্তিকর কাজ যদি বিতর্কিত হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপত্তি কিভাবে সম্ভব?