যারা #ক্র্যাশ সেলিব্রিটিদের উপর..

.
ছোট কিংবা বড়ো পর্দার অভিনেত্রীদের জ্বালাময়ী রূপ, সুদর্শন ফিগার, সুমিষ্ট বাচনভঙ্গি কিংবা নজরকড়া অভিনয়ে ক্র্যাশ খান নি এমন ছেলেফেলে আজকাল খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। কত রাতের ঘুম যে হারাম করেছেন তাঁর কোনো হিসেবও নেই। হয়তোবা নিজের জীবনসঙ্গীর মাঝেও আপনার প্রেয়সীকেই খুঁজেছেন। পান নি! তাই এক বালতি আফসোস আর এক মগ হতাশায় দিন কাটিয়েছেন।
.
একটা সময় ছিল, যখন আপনি তাকে পেলে আসমানের চাঁদ হাতে পেয়েছেন' এমনটা মনে করতেন, আপনার হৃদয়ের সবটুকু অংশ জুড়ে ছিল তাঁর বসবাস, অথচ আজকে সেই প্রিয়মুখটার লিংক বের হওয়ার পর পরই মনে মনে ভাবছেন - আমি বড়োই সৌভাগ্যবান, অন্তত এমন একটা মেয়ের স্বামী হইনি! এ তো গেল একটার কথা। এরকম কতো অভিনেত্রীর অপ্রকাশ্য লিংক যে খাটের নিচেই চাপা পড়ে রয়েছে, তা হয়ত আমার — আপনার জানারও সুযোগ নেই। তারপরও আমরা এইসব আধুনিক বেশ্যাদের উপর ক্র্যাশ খাই।
.
বন্ধুগন! ইসলামের সুশীতল ছায়ায় নিজের জীবনকে যারা সাজাতে ব্যর্থ, তারা যত বড়ো সেলিব্রিটিই হউক না কেন, মানসিক দিক থেকে তারাই সবচেয়ে বেশি অসুখী। কেননা, আল্লাহর দ্বীন ছাড়া কোথাও আত্নার সুখ নেই, সাফল্য নেই। এখনো কি এই সরল সত্যটুকু বোঝার সময় হয়নি আমাদের?
.
জেনে রাখুন, একজন মুসলিমের চূড়ান্ত সাফলতা হচ্ছে, ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করা; আর এই প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। ইমামু আহলিস সুন্নাহ আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ভাষায়, "প্রথম কদম জান্নাতে রাখার পর।"
.
অথচ বাস্তব সত্য হল, এই দীর্ঘ পথ চলার জন্য যে আত্মনিবেদন আর ধৈর্যের প্রয়োজন; তার কোনটার জোগানই আমাদের নেই। বড্ড আফসোস করে ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহ.) বলছেন, "সে-ই প্রকৃত মানুষ যে তাঁর শরীরের মৃত্যুকে নয় বরং অন্তরের মৃত্যুকে ভয় করে।" [মাদারিজ আস সালেক্বীন, ৩/২৪৮]
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের জন্য হিদায়াতের রাস্তাকে সহজ করুন আর এর উপর আমাদের কদম দৃঢ় করুন। হিদায়াত দানের পর আমাদের অন্তরসমূহকে সত্যবিচ্যুতি থেকে হিফাযত করুন — আমীন..
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂