বিস্তারিত👇
▷ ১. সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হলো সর্বোত্তম। হাদিসের ভাষ্য মতে, এদিনে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। যথা-(ক) এ দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়।
(খ) এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়।
(গ) একই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়। (মুসলিম : ৮৫৪)।
(ঘ) একই দিনে তাকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়।
(ঙ) এ দিনেই তার তওবা কবুল করা হয়।
(চ) এ দিনেই তার রূহ কবজ করা হয়। (আবু দাউদ : ১০৪৬)।
(ছ) এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে।
(জ) এ দিনেই কেয়ামত হবে।
(ঝ) এ দিনেই সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। (আবু দাউদ : ১০৪৭)।
(ঞ) প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এ দিনটিকে ভয় করে। (ইবনে মাজাহ : ১০৮৪)।
.
▷ ২. উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুমার দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদি-নাসারাদের ওপর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এ দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদিরা শনিবারকে আর খ্রিস্টানরা রোববারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল।
অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফজিলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদি তা গ্রহণ করে নিয়েছে। (বোখারি : ৮৭৬)।
.
▷ ৩. জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ : ১০৯৮)।
.
▷ ৪. জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। (ইবনে মাজাহ : ১০৮৪)।
.
▷ ৫. জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তাই তাকে দেয়া হয়। (এ সময়টি গোপন রাখা হয়েছে-তবে এক হাদীস অনুযায়ী) এ সময়টি হলো জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত। (মুসলিম : ৮৫২)।
.
▷ ৬. জুমার রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা যায় আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন। (তিরমিজি : ১০৭৮)
.
▷ ৭. জান্নাতে প্রতি জুমার দিনে জান্নাতিদের হাট বসবে। জান্নাতি লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনোমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতিদের সৌন্দর্য অনেকগুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরাতা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে। (মুসলিম :২৮৩৩)
.
▷ ৮. যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য দুই জুমারমধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেবেন। (জামেউস সাগির : ৬৪৭০)।
.
▷ ৯. যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে। (মুসলিম)।
.
▷ ১০. প্রত্যেক সপ্তাহে জুমার দিন আল্লাহ তায়ালা বেহেশতি বান্দাদের দর্শন দেবেন।(সহিহুত তারগিব)।
.
▷ ১১. এই দিনে দান-খয়রাত করার সওয়াব অন্য দিনের চেয়ে বেশি হয়। ইবনুল কায়্যিম বলেছেন, অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের দানের সওয়াব যেমন বেশি, তেমনি শুক্রবারের দান-খয়রাত অন্য দিনের তুলনায় বেশি। (জাদুল মায়াদ)।
.
▷ ১২. ইবনুল কায়্যিম আরও বলেছেন, অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের মর্যাদা যেমন,সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমা বারের মর্যাদা ঠিক তেমন। তাছাড়া রমজানের কদরের রাতে যেমনভাবে দোয়া কবুলহয়, ঠিক তেমনি শুক্রবারের সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণেও দোয়া কবুল হয়। (জাদুল মায়াদ : ১/৩৯৮)।
.
▷ ১৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জুম্মার দিন সূরা কাহফ পড়বে তার দুই জুম্মার মধ্যবর্তী সমগ্র সময় জুড়ে তার ওপর আল্লাহর জ্যোতি বর্ষিত হতে থাকবে”। [নাসায়ী, বাইহাকী]
জুম্মাহ নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর :
জুমুআর দিনে গুরুত্বপূর্ণ পালনীয় সুন্নাত ও আদবসহ ৩৮ টি পয়েন্ট দেয়া হলোঃ১) জুম’আর দিন গোসল করা। যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল(সাঃ) ওয়াজিব করেছেন(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭,৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।
২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)
৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭,ইঃফাঃ৮৪৩)
৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)
৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা।(ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)
৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)
৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা
ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩,আহমাদঃ১/২৩০)
৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১,মুসলিমঃ৮৫০)
৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)
১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা
সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)
১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)
১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)
১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।(বুখারীঃ৯৩৫)
১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)
১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)
১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)
১৭) খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা। (বুখারীঃ ৯৩০)
১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকর বা কোন শিক্ষামুলক হালকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে,গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন
শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ১০৮৯)
১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা।(নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)
২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)
২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)
২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)
২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশন কারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)
২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ৩/২৪৯)
২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)
২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)
২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া, বা প্রচুর জনবসতি থাকা, বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া, বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)
২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)
২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)
৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ
আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।
৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)
৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)
৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।
৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।
৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ।(বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)
৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে, ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর
সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)
৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)
৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।
লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা
পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী,
ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার,
ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমুআর দিনে ও রাতে বেশী বেশী দরুদ পাঠ করার ফজিলত!!!
জুমআর রাতে (বৃহ্স্পতিবার দিবাগত রাতে) ও (জুমআর) দিনে প্রিয়তম হাবীব মহানবী (সাঃ)-এর শানে অধিকাধিক দরুদ পাঠ করা কর্তব্য। মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল, জুমআর দিন। এই দিনে তোমরা আমার প্রতি দরুদ পাঠ কর। যেহেতু তোমাদের দরুদ আমার উপর পেশ করা হয়ে থাকে। (আবূদাঊদ, সুনান ১৫৩১নং)
তিনি আরো বলেন, “জুমআর রাতে ও দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরুদ পাঠ কর। আর যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির উপর আল্লাহ ১০ বার রহ্মত বর্ষণ করবেন।” (বায়হাকী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৪০৭নং
জুমুআর নামাজের আগে ও পরে কত রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়তে হবে? #জুমুআর_আগের_সুন্নাতঃ জুমআর খুতবার পূর্বে ‘কাবলাল জুমুআহ’ বলে কোন নির্দিষ্ট রাকআত সুন্নত নেই। অতএব নামাযী মসজিদে এলে ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ ২ রাকআত সুন্নত পড়ে বসে যেতে পারে এবং দুআ, দরুদ তাসবীহ- যিকর বা তেলাওয়াত করতে পারে। আবার ইচ্ছা হলে নামাযও পড়তে পারে। তবে এ নামায হবে নফল এবং অনির্দিষ্ট সংখ্যায়।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি জুমআর দিন যথা নিয়মে গোসল করে, দাঁত পরিষ্কার করে, খোশবূ থাকলে তা ব্যবহার করে, তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে, অতঃপর (মসজিদে) যায়, নামাযীদের ঘাড় ডিঙিয়ে (কাতার চিরে) আগে যায় না, অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী নামায পড়ে। তারপর ইমাম উপস্থিত হলে নীরব ও নিশ্চুপ থাকে এবং নামায শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কথা বলে না, সে ব্যক্তির এ কাজ এই জুমুআহ থেকে অপর জুমআর মধ্যবর্তীকালে কৃত পাপের কাফফারা হয়ে যায়।” (আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে মাজাহ্, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬০৬৬নং)
প্রকাশ থাকে যে, “প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাঝে নামায আছে।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৬২নং) এই হাদীস দ্বারা কাবলাল জুমআর সুন্নত প্রমাণ হয় না। কারণ, বিদিত যে, জুমআর আযান ও ইকামতের মাঝে থাকে খুতবা। আর মহানবী (সাঃ)-এর যুগে পূর্বের আর একটি আযান ছিল না। আর সুন্নত প্রমাণ হলেও মুআক্কাদাহ ও নির্দিষ্ট সংখ্যক নয়।
তদনুরুপ “এমন কোন ফরয নামায নেই, যার পূর্বে ২ রাকআত নামায নেই।” (ইবনে হিব্বান, সহীহ, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৩২, জামে ৫৭৩০নং) এ হাদীস দ্বারাও জুমআর পূর্বে ২ রাকআত সুন্নত প্রমাণ হয় না। কারণ, জুমআর ফরয নামাযের পূর্বে খুতবা হয়। আর খুতবার পূর্বে ২ রাকআত নামায এ দ্বারা প্রমাণিত হয় না। (দ্র: সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৩২নং)
সতর্কতার বিষয় যে, ইমামের খুতবা চলাকালে কেউ মসজিদে উপস্থিত হলে তাকে সেই অবস্থায় হাল্কা করে যে ২ রাকআত পড়তে হয়, তা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ নয়; বরং তা হল তাহিয়্যাতুল মাসজিদ।
#জুমআর পরে বা বা’দাল জুমআর ৪ অথবা ২ রাকআত সুন্নত :
জুমআর পর মসজিদে সুন্নত পড়লে একটু সরে গিয়ে বা কারো সাথে কোন কথা বলার পরে ৪ রাকআত নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়তে হয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমআর পর নামায পড়ে, সে যেন ৪ রাকআত পড়ে।” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, জামে ৬৪৯৯নং)
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমআর নামায পড়ে সে যেন তার পর ৪ রাকআত নামায পড়ে।” (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, নাসাঈ, সুনান, জামে ৬৪০নং)
তিনি বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমুআহ পড়ে, সে যেন তার পর কোন কথা না বলা অথবা বের হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কোন নামায না পড়ে।” (ত্বাবারানী, মু’জাম,সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৩২৯নং)
হযরত ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) জুমআর নামায পড়ে বাসায় ফিরে ২ রাকআত নামায পড়তেন। (বুখারী ৯৩৭নং, মুসলিম, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)
অবশ্য যদি কেউ মসজিদে ২ রাকআত পড়ে তাও বৈধ। পরন্তু যদি কেউ ২ অথবা ৪ রাকআত বাসায় পড়ে তাহলে সেটাই উত্তম। কারণ, মহানবী (সাঃ) বলেন, “ ফরয নামায ছাড়া মানুষের শ্রেষ্ঠতম নামায হল তার স্বগৃহে পড়া নামায।” (নাসাঈ, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, সহিহ তারগিব ৪৩৭নং, তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ৩৪১-৩৪২পৃ:)
প্রকাশ থাকে যে, জুমআর পরে যোহরের নিয়তে ৪ রাকআত এহ্তিয়াতী যোহ্র পড়া বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭৪পৃ:, মু’জামুল বিদা’ ১২০, ৩২৭পৃ:) যেমন বিদআত রমযানের শেষ জুমআকে জুমআতুল বিদা নাম দিয়ে কোন খাস মসজিদে ঐ জুমুআহ পড়তে যাওয়া।
শাইখ আবদুল হামিদ ফাইযী
জুমুআর খুৎবার সময় মসজিদে এসে ছালাত
না পড়েই বসে পড়ার বিধান কি?
➡️উক্ত কাজ সুন্নাত বিরোধী। ইমাম খুৎবা দিলেও দুই রাক‘আত সুন্নাত ছালাত পড়ে বসতে হবে। নিষেধের পক্ষে যে হাদীছ প্রচার করা হয় তা মিথ্যা।
🔹 আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, ইমাম খুৎবা দেওয়া অবস্থায় তোমরা ছালাত আদায় কর না।[আবু সাঈদ মালীনী, আল-ইহকামু উস্তা, ২/১১২ পৃঃ।] না
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল। তাছাড়া ছহীহ হাদীছের সরাসরি বিরোধী।[তানক্বীহুল কালাম, পৃঃ ৪৩৩।] অন্য বর্ণনায় এসেছে,
🔹 ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, ইমাম খুৎবা দেওয়া অবস্থায় তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ইমাম খুৎবা শেষ করা পর্যন্ত কোন ছালাত নেইও কোন কথাও নেই।[মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১৮৪ পৃঃ।]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি বাতিল। শায়খ আলবানী বলেন, وَإِنَّمَا حَكَمْتُ عَلَى الْحَدِيْثِ بِالْبُطْلاَنِ لِأَنَّهُ مَعَ ضَعْفِ سَنَدِهِ يُخَالِفُ حَدِيْثَيْنِ صَحِيْحَيْنِ. ‘আমি এই হাদীছের উপর বাতিল হওয়ার হুকুম আরোপ করেছি। কারণ এর সনদ যঈফ হওয়ার পাশাপাশি দুইটি ছহীহ হাদীছের বিরোধী’। [সিলসিলা যঈফাহ ১/১৯৯-২০১ পৃঃ, হা/৮৭।]
💥 খুৎবার সময় ছালাত আদায় করার ছহীহ দলীল :
👉 জাবের (রাঃ) বলেন, একদা জনৈক ব্যক্তি জুম‘আর দিনে মসজিদে প্রবেশ করল। তখন রাসূল (ﷺ) খুৎবা দিচ্ছিলেন। তিনি ঐ লোকটিকে বললেন, তুমি কি ছালাত আদায় করেছ? সে বলল, না। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তুমি দাঁড়াও দুই রাক‘আত ছালাত আদায় কর। [ছহীহ বুখারী হা/৯৩০ ও ৯৩১, ১ম খন্ড, পৃঃ ১২৭, (ইফাবা হা/৮৮৩ ও ৮৮৪, ২/১৯০-১৯১ পৃঃ) ; ছহীহ মুসলিম হা/২০৫৭, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৮৭, (ইফাবা হা/১৮৯০, ১৮৯২)।] 🔹ইমাম বুখারী (রহঃ) নিম্নোক্ত মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, بَابُ إِذَا رَأَى الْإِمَامُ رَجُلًا جَاءَ وَهُوَ يَخْطُبُ أَمَرَهُ أَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ ‘ইমাম খুৎবা দেয়া অবস্থায় যখন কোন ব্যক্তিকে মসজিদে আসতে দেখবেন তখন তিনি তাকে নির্দেশ দিবেন সে যেন দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে’ অনুচ্ছেদ। আরেকটি অধ্যায় রচনা করেছেন, بَابُ مَنْ جَاءَ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيْفَتَيْنِ ‘ইমাম খুৎবা দেয়া অবস্থায় যে মসজিদে আসবে সে যেন সংক্ষিপ্তভাবে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে’ অনুচ্ছেদ।
👉 জাবের (রাঃ) বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) একদা খুৎবা প্রদানকালে বলেন, ইমাম খুৎবা দেয়া অবস্থায় জুম‘আর দিনে তোমাদের কেউ যদি মসজিদে আসে সে যেন দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে। আর এর মাঝে সংক্ষেপ করে।[ছহীহ মুসলিম হা/২০৬১, (ইফাবা হা/১৮৯৪); মিশকাত হা/১৪১১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৩৭২, ৩/১৯৮ পৃঃ।]
💥 অতএব মসজিদে যখনই প্রবেশ করবে তখনই দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করতে হবে। এর বিকল্প কিছু নেই। উক্ত হাদীছগুলো জানার পরও যদি কেউ আমল না করে তাহলে তার পরিণাম কী হতে পারে? অথচ হেদায়ার মধ্যে জাল হাদীছের আলোকে এ সময় ছালাত আদায় করতে সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে।[হেদায়া ১/১৭১ পৃঃ-( وَإِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ تَرَكَ النَّاسُ الصَّلَاةَ وَالْكَلَامَ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ خُطْبَتِهِ )।]
জুমুআর দিনে বা তার রাতে কেউ মারা গেলে কবরের আযাব থেকে রেহাই পাবে। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে মুসলিম জুমআর দিন অথবা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা থেকে বাচান।” (আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী, সুনান, জামে ৫৭৭৩
সূরা কাহাফ প্রসংঙ্গে কিছু তথ্য ও ফজিলত
সূরা কাহাফের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:-
কুরআনের ১৮ নম্বর সূরা ‘সূরা কাহাফ’। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এ পুর্ণাঙ্গ সূরাটি এক সঙ্গে নাজিল হয়েছে এবং এর সঙ্গে ৭০ হাজার ফিরিস্তা দুনিয়াতে আগমন করেছেন। এ সূরার কিছু তথ্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো ৷
নামকরণ:-
এ সূরায় আসহাবে কাহাফ তথাঐ সব মুমিন যুবক যারা দ্বীনকে সংরক্ষণের জন্য নিজেদের কোনো এক পাহাড়ের একটি গুহায় আত্মগোপনে রেখেছিলেন। তাদের ঘটনা বর্ণিত হওয়ায় এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরা কাহাফ।
এ সূরার তিনটি ঘটনা:-
০১. ওই সব যুবকের ঘটনা, যারা ঈমান আকিদা রক্ষা করার জন্য নিজেদের ওপর কুরবানি করে নিজেদের আবাস ছেড়ে কোনো পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানে ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে কাটানোর পর আল্লাহ তাআলা তাদের আবার জাগ্রত করেন।
০২. হজরত মূসা ও খিজির আলাইহিস সালামের মাঝে সংঘটিত ঘটনা।
০৩. বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা যিনি সারা বিশ্বের বাদশাহ ছিলেন এবং সারা পৃথিবী ভ্রমণ করেন। এ ঘটনাগুলোর জন্য উক্ত সূরাটি যেমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তেমনি অনেক ফজিলতপূর্ণ।
সূরা কাহাফের ফজিলত
(এক). হজরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতঃপর সকালে ওই ব্যক্তি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে রাতের ঘটনা বললেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। -সহিহ বোখারি: ৫০১১, ৩৬১৪; সহিহ মুসলিম: ৭৯৫
(দুই) হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবে। -সহিহ মুসলিম: ৮০৯, আবু দাউদ: ৪৩২৩
(তিন). হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, তাহলে সেটা তার জন্য নূর হবে তার স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত এবং যে সূরার শেষ দশ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
-সুনানে নাসাঈ: ১০৭২২
(1)হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, যে সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করে সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে। তাঁর থেকে আরেকটি রেওয়ায়েতে শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারে উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং প্রথম বা শেষ ১০ আয়াত অথবা উভয় দিক দিয়ে মোট ২০ আয়াত যে মুখস` করবে সেও উল্লিখিত ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত হবে।
(2)হজরত সাহাল ইবনে মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায়। আর যে পূর্ণ সূরা তিলাওয়াত করে তার জন্য জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয় ৷
(মুসনাদে আহমাদ)
জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলত
(1)হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।
(2)হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ﺭَﺿِﯽَ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻨۡﮩُﻤَﺎ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ﺻﺎﻱ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﺎﻡ ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি জুমার দিন ‘সুরা কাহাফ’পাঠ করবে, তার কদম থেকে আসমান পর্যন্ত নূরদ্বারা আলোকিত হবে এবং কিয়ামতের দিন ঐ নূর তার সামনে উদ্ভাসিত হবে। আর দুই ্যবর্ দিন সমূহে তার থেকে সংগঠিত গুনাহ সমূহ্ ক্ষমা করেদেয়া হবে। (আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব, ১ম খন্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২)
(3)হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেৎনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও মুক্ত থাকবে।
(4)অন্য রেওয়ায়েতে আছে এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে উল্লিখিত গুনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য যে, কবিরা গুনাহ তওবাহ করা ছাড়া মাফ হয় না।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সূরা কাহাফ বেশি বেশি তিলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন এবং এর মর্মার্থ বুঝে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুক ৷ আমীন