যার একটা গার্লফ্রেন্ড (প্রেমিকা) আছে, তার দুনিয়া ও আখেরাত সব নিঃশেষ হওয়ার পথে...

যার একটা গার্লফ্রেন্ড (প্রেমিকা) আছে, তার দুনিয়া ও আখেরাত সব নিঃশেষ হওয়ার পথে
.
ইমাম ইবনুল জাউযি (রাহিমাহুল্লাহ) নারীপ্রেমের পরিণতি সম্পর্কে বলেন-
.
“নারীপ্রেম ও নারী-আসক্তির প্রায়শ্চিত্য বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। কখনো এই প্রায়শ্চিত্য ভোগ করতে হয় সঙ্গে সঙ্গে, কখনো দেরিতে; কখনো প্রকাশ পায়, কখনো পায় না। আবার এর এমন কিছু শাস্তি রয়েছে, যা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেও বুঝতে সক্ষম হয় না। তবে সবচাইতে বড় শাস্তি হচ্ছে- আল্লাহকে ভুলে যাওয়া ও ঈমান বিলুপ্ত হওয়া (এমন অনেক ঘটেছেও)। নারীআসক্তি ও গোনাহের কারণে অন্তর মরে যায়, যার ফলে সে আল্লাহর কাছে মুনাজাতের স্বাদ আস্বাদন করতে সক্ষম হয় না, পবিত্র কুরআন তার অন্তরে অবস্থান করে না। ইস্তেগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ অন্যান্য ইবাদত তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। আরো অনেক ধর্মীয় অবক্ষয় রয়েছে, যা তাকে আস্তে আস্তে গ্রাস করে নেয়, যা সে অনুধাবনও করতে পারে না। তার অন্তরের দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত হয় গোনাহের অন্ধকার, নষ্ট হয়ে যায় তার অন্তরদৃষ্টি, যার প্রভাব পড়ে তার শরীরেও। যেমন, চোখের দৃষ্টি চলে যায়, স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে ইত্যাদি। তাই অন্তরের মধ্যে গোনাহের আসক্তি উপলব্ধি করার সাথে সাথে কোন ব্যক্তির উচিত তওবা করা, হয়তো এর দ্বারা আসন্ন বিপদ দূরীভূত হয়ে যাবে।” [যাম্মুল হাওয়া: ২১৭ পৃষ্ঠা]
.
হারামের প্রেমিকের অন্তরে আল্লাহর প্রতি প্রেম-ভালবাসা থাকে না। কিছুটা থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। কারো সফলতার জন্য দরকার হলো- আল্লাহর আযাবকে ভয় করা, তাঁর প্রতি রহমতপ্রাপ্তির সুধারণা রাখা এবং তাঁর বড়ত্ব, মহত্ত্ব ও ভালোবাসা মনে জাগরূক রাখা। হারাম প্রেম-ভালবাসা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ফলে সে এসব অনুভূতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে।
.
এজন্য বলা হয়ে থাকে, প্রেম-ভালবাসায় জড়ানোর আগ পর্যন্ত মানুষ বুদ্ধিমান ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন থাকে।
-----------------------------------------------
                    --copied